আমার ভাতিজা দেবাশীষ রায় সুপ্রিয় পড়ে ক্লাশ নাইনে । কমার্স এ পড়ে । তিনটা টিউশন ,ক্লাশ নিয়ে খুবই ব্যস্ত সে । তার সব চেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে ইংলিশে । এত দিন সে শুধু মাত্র নির্দিষ্ট সিলেবাস পড়ে আসছিল । রেজাল্ট ভালই হয়েছে কিন্তু ইংলিশের প্রাথমিক ধারণা গুলোও তার নেই । ডোমারে যে টিচারের কাছে পড়ে ,উনি প্রায়ই নাকি বলে ,ইংলিশ বুঝতে তোমার অনেক সময় লাগবে ।

আমি দেখলাম ,এভাবে সুপ্রিয় পিছিয়ে পড়বে ,তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি ,প্রতি দিন মোবাইলে এক ঘন্টা করে পড়াব । মাস খানেক পড়ালেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস সে ভাল করতে পারবে । তাই গত কাল থেকে শুরু করেছি টিচিং । অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত পড়েছিল নিমোজ খানা হাই স্কুলে । নিমোজ খানা স্কুলের অবস্থা খুবই শোচনীয় । সব ছাত্র ছাত্রী বাইরের শিক্ষকের কাছে পড়ে । নিমোজ খানা হাই স্কুল নোংরা রাজনীতিতে ভরে গেছে । ছাত্র ছাত্রীদের প্রতি কারো কোন মাথা ব্যথা নেই । বাড়িতে থাকা কালিন বেশ কয়েকটা সায়েন্সের ব্যাচ কে পড়িয়েছিলাম । অদূর ভবিষ্যতে নিমোজ খানা হাই স্কুলের ভবিষ্যৎ অন্ধকার ।
সুপ্রিয় কে ডোমার বহুমূখী হাই স্কুলে ভর্তি করানো হয়েছে ।
বাড়ি থেকে স্কুলের দুরত্ব আট কিলোমিটারেরও বেশি । সে সকালে ডোমারে যায় হিসাব বিজ্ঞান পড়তে । তার পর বাড়িতে আসে । এর পর যায় স্কুলে । চারটা পর্যন্ত ক্লাশ চললে ,ক্লাশ শেষ করে ইংলিশ প্রাইভেট শেষ করে নিমোজ খানায় আসে । নিমোজ খানায় এক জনের কাছে সাধারণ গনিত পড়ে বাড়িতে ফিরে রাত সাড়ে আটটায় । যে দিন দুপুরে ক্লাশ শেষ হয় ,সেদিন বাড়িতে ফিরে বিকালে আবার ডোমারে যেতে হয় । অর্থাৎ প্রতিদিন সুপ্রিয়কে কম করে হলেও ৩৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার সাইক্লেলিং করতে হয় ।
এ বয়সে অনেক বেশি জার্নি হয়ে যায় । পরিবারের অন্যদের কথা মত যদি সায়েন্স নিতো ,তবে কি সমস্যাটাই না হতো । সব চেয়ে বড় কথা হচ্ছে ,সে ভাল শিক্ষকের সান্নিধ্য পায় নি । নিমোজ খানায় এখন যারা টিউশনি করায় ,তারা তো সিরিয়ালের বাইরে । মাঝে মাঝে ভাবি ,কেন যে জবে এলাম । দশ পনেরটা বছর টিউশনি করলেই অনেক কিছু করতে পারতাম । টিচার হিসেবে তো ভালই নাম করেছিলাম ।
সুপ্রিয় যখন খুব ছোট ছিল ,খুবই দুষ্ট আর দুরন্ত প্রকৃতির ছিল । এমন দুষ্ট যে আশে পাশের লোক জন মন্তব্য করতো এমন ছেলে নাকি এর আগে কখনো তারা দেখে নি । তার দুষ্টমীর জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে কয়েক বার তাকে খুব মারধর করেছিলাম । আজ সে সব কথা স্মরণ করে খুবই কষ্ট পাই । তাকে যেমন শাসন করেছি ,এখন আদর স্নেহ দিয়ে তা পুষিয়ে দিতে চাই । জানি না কতটুকু পারব ,তবে চেষ্ঠা করছি । এজন্য তার পড়া শোনার প্রতি খুবই খেয়াল রাখার চেষ্ঠা করছি । তার পড়া শোনার জন্য মোবাইলে টিচিং এর ব্যবস্থা করেছি ।
আমি দেখলাম ,এভাবে সুপ্রিয় পিছিয়ে পড়বে ,তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি ,প্রতি দিন মোবাইলে এক ঘন্টা করে পড়াব । মাস খানেক পড়ালেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস সে ভাল করতে পারবে । তাই গত কাল থেকে শুরু করেছি টিচিং । অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত পড়েছিল নিমোজ খানা হাই স্কুলে । নিমোজ খানা স্কুলের অবস্থা খুবই শোচনীয় । সব ছাত্র ছাত্রী বাইরের শিক্ষকের কাছে পড়ে । নিমোজ খানা হাই স্কুল নোংরা রাজনীতিতে ভরে গেছে । ছাত্র ছাত্রীদের প্রতি কারো কোন মাথা ব্যথা নেই । বাড়িতে থাকা কালিন বেশ কয়েকটা সায়েন্সের ব্যাচ কে পড়িয়েছিলাম । অদূর ভবিষ্যতে নিমোজ খানা হাই স্কুলের ভবিষ্যৎ অন্ধকার ।
সুপ্রিয় কে ডোমার বহুমূখী হাই স্কুলে ভর্তি করানো হয়েছে ।
বাড়ি থেকে স্কুলের দুরত্ব আট কিলোমিটারেরও বেশি । সে সকালে ডোমারে যায় হিসাব বিজ্ঞান পড়তে । তার পর বাড়িতে আসে । এর পর যায় স্কুলে । চারটা পর্যন্ত ক্লাশ চললে ,ক্লাশ শেষ করে ইংলিশ প্রাইভেট শেষ করে নিমোজ খানায় আসে । নিমোজ খানায় এক জনের কাছে সাধারণ গনিত পড়ে বাড়িতে ফিরে রাত সাড়ে আটটায় । যে দিন দুপুরে ক্লাশ শেষ হয় ,সেদিন বাড়িতে ফিরে বিকালে আবার ডোমারে যেতে হয় । অর্থাৎ প্রতিদিন সুপ্রিয়কে কম করে হলেও ৩৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার সাইক্লেলিং করতে হয় ।
এ বয়সে অনেক বেশি জার্নি হয়ে যায় । পরিবারের অন্যদের কথা মত যদি সায়েন্স নিতো ,তবে কি সমস্যাটাই না হতো । সব চেয়ে বড় কথা হচ্ছে ,সে ভাল শিক্ষকের সান্নিধ্য পায় নি । নিমোজ খানায় এখন যারা টিউশনি করায় ,তারা তো সিরিয়ালের বাইরে । মাঝে মাঝে ভাবি ,কেন যে জবে এলাম । দশ পনেরটা বছর টিউশনি করলেই অনেক কিছু করতে পারতাম । টিচার হিসেবে তো ভালই নাম করেছিলাম ।
সুপ্রিয় যখন খুব ছোট ছিল ,খুবই দুষ্ট আর দুরন্ত প্রকৃতির ছিল । এমন দুষ্ট যে আশে পাশের লোক জন মন্তব্য করতো এমন ছেলে নাকি এর আগে কখনো তারা দেখে নি । তার দুষ্টমীর জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে কয়েক বার তাকে খুব মারধর করেছিলাম । আজ সে সব কথা স্মরণ করে খুবই কষ্ট পাই । তাকে যেমন শাসন করেছি ,এখন আদর স্নেহ দিয়ে তা পুষিয়ে দিতে চাই । জানি না কতটুকু পারব ,তবে চেষ্ঠা করছি । এজন্য তার পড়া শোনার প্রতি খুবই খেয়াল রাখার চেষ্ঠা করছি । তার পড়া শোনার জন্য মোবাইলে টিচিং এর ব্যবস্থা করেছি ।
0 Comments