যামিনী রায় এর কবিতা
~:শুকতারা:~২২১

আমি আর অনামিকা,
আমরা এক সময় একই বাড়িতে থাকতাম ।
দু’জনে পড়তাম একসাথে একই স্কুলে ।
প্রতিদিন রাতের বেলা ছাদে উঠে
দু’জনে খুঁজতাম শুকতারা ।
যে তারাটিকে শুকতারা ভেবে খুঁজে পেতাম
সেটি শুকতারা ছিল কিনা তখন তা জানতাম না ,
তবুও সেই তারাটিকে খুঁজে পেয়ে
দু’জনে আনন্দে হতাম আত্মহারা ।
কখনো শুকতারা আগে খুঁজে পেতাম আমি
কখনো বা অনামিকা-
এভাবেই কেটে যেত সময় ।
হঠাৎ একদিন-
অনামিকার বাবা বদলি হয়ে যায়,
সপরিবারে চলে গেল তারা নতুন জায়গায় ।
যাবার বেলা আমাদের দু’জনের সেকি কাঁন্না ।
অবশেষে চলে গেল অনামিকা ।
অনামিকা যাবার বেলা বলে গেল
প্রতিদিন রাতের বেলা শুকতারা খুঁজবে সে ।
আর অনুরোধ করে গেল আমিও যেন
তার মত শুকতারা খুঁজি রাতের আঁধারে
আর স্মরণ করি তাকে ।
তারপর-
বহু বছর পেরিয়ে গেছে
বদলে গেছে অনেক কিছুই ।
তখন সবেমাত্র শিক্ষা জীবন শুরু
আর এখন শিক্ষা জীবনের পর্ব শেষ ।
জানি না-
এখন অনামিকা কোথায় আছে কেমন আছে ।
হয়তো দেখা হলে কেউ কাউকে চিনব না ।
তবু তাকে মনে পড়ে ,আর মনে পড়ে তার
সেই শেষ অনুরোধের কথা ।
অনামিকা এখন শুকতারা খুঁজে কি না জানি না,
তবে এখনো আমি রাতের আঁধারে
নিস্তব্ধ আকাশে শুকতারা খুঁজি আর ভাবি
আমার অতীতের শুকতারা খুঁজা সাথীটির কথা ।
অনামিকা আমাকে মনে রেখেছে কি না জানি না,
তবে এখনো আমি অনামিকা নামের
সেই বাল্য সাথীটির কথা মনে রেখেছি
আর রাতের আঁধারে নিস্তব্ধ আকাশের গায়
শুকতারা খুঁজেই যাচ্ছি ।
তারিখ:১৫-১২-২০০৩ ইং
শান্তি নগর,নীলফামারী ।
স্বপ্ন ভঙ্গ -২২২
আমারও একটা স্বপ্ন ছিল
ছিল সুন্দর মন ,
দু’চোখ তাই বারে বারে
স্বপ্ন দেখতো সারাক্ষণ ।
অনেক সাধের স্বপ্ন ছিল
ছিল কত আশা ,
মনের মত স্বপ্ন রঙিন
বাঁধব সুখের বাসা ।।
আমারও সুন্দর মন ছিল
ছিল সুখের স্বপ্ন,
দু;চোখ তাই বারে বারে
স্বপ্নে ছিল মগ্ন ।
হঠাৎ করে সুখের ঘরে
এলো সর্বনাশী ঝড়,
জীবনের ছক বদলে দিল
ভাঙলো সুখের ঘর ।।
এখন আমার সবাই পর
আপন ছিল যারা,
স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে এখন
হলাম ছন্ন ছাড়া ।
তারিখ:০২-০১-২০০৪ ইং
শাহীপাড়া,নীলফামারী ।
ঈদের আগমনে-২২৩
পড়েছে আনন্দের সাড়া
ঈদ এলো তাই,
চারিদিকে খুশির জোয়ার
যে দিকে তাকাই ।
খুসবু আতরের ঘ্রাণে
ভরিছে বাতাস,
ঈদের আগমনে খেলিছে খেলা
নির্মল নীলাকাশ ।।
সর্বত্র শান্তি-শুচিতা ভাব
ঈদের আগমনে,
ঈদ এনেছে শ্রদ্ধা-সম্প্রীতি
মানুষের মনে ।
ঈদের আগমনে সবার প্রাণ
খুশিতে উঠুক ভরি,
মানুষে মানুষে হউক সৌহার্দ্য ভাব
এই কামনা করি ।।
তারিখঃ৪-১-২০০৪ ইং
শাহীপাড়া,নীলফামারী ।
মিলন মেলা-২২৪
ঈদের দিনে সকাল বেলা
খুসবু আতর ছড়ায়,
সবার প্রাণে খুশির জোয়ার
মিলন মেলা ধরায় ।
সবার সনে মিশতে সবাই
ছুটে ঈদ ময়দানে,
সবার প্রাণে ভালবাসা
চারিদিক মুখরিত ঈদ মোবারক তানে ।।
সব খানেতেই শুচিতা ভাব
ঈদের দিনে সকাল বেলা,
শান্তির বাতাস বহে যেন
বসে মিলন মেলা ।
তারিখঃ৪-১-২০০৪ ইং
শাহীপাড়া,নীলফামারী ।
ইতিহাস-২২৫
এই বিশাল পৃথিবীতে
কত না লোকের বাস,
কত জনেই ইতিহাস খ্যাত
আবার অগোচরে রয়ে যায় কত জীবন ইতিহাস ।
কেউ থাকে তিন তলায়
কেউ কুঁড়ে ঘরে,
কারো আবার সুখের জীবন
কেউ অনাহারে মরে ।।
কেউ থাকে হাসি গানে
দিন যায় মহা সুখে ,
কেউ পড়ে থাকে গাছ তলায়
রাত কাটে বড় দুঃখে ।
কারো কথা পড়ি খবরের পাতায়
প্রত্যহ -প্রতিদিন,
কেউ অগোচরে পড়ে থাকে হতাশায়
গায়ে জড়িয়ে শত ঋণ ।।
রূপ-সৌন্দর্য-ঐশ্বর্য -প্রতিপত্তি
থেকেও কেউ নহে বরনীয়,
আবার সর্বহারা হয়েও কত জন পৃথিবীতে
হয়েছেন চির স্মরণীয় ।
এই বিচিত্র পৃথিবীতে
কত না লোকের বাস,
কত না কাহিনী লুকিয়ে আছে অগোচরে
আছে কত জীবন ইতিহাস ।।
তারিখঃ৪-১-২০০৪ ইং
শাহীপাড়া,নীলফামারী ।
আধুনিক মেয়ে -২২৬
আজকের দিনে মেয়েদের দেখি
মাথায় খাটো চুল,
অনেক সময় ছেলে ভেবে
হয় যে বড় ভুল ।
প্যান্ট পরে জিন্সের
পায়ে হাই হিল,
ছেলে দেখে অকারণে
হাসে খিল খিল ।।
গোড়ালির উপর পায়জামা পরে
ফাটা আবার তাও,
আধুনিক মেয়ের কান্ড দেখে
কাঁদে বাপ মাও ।
একা একা শপিং করে
শপিং কমপ্লেক্স এ যেয়ে,
দেখতে তো হবে ভাই
ওরা যে আধুনিক মেয়ে ।।
তারিখঃ১৫-০১-২০০৪ ইং
শাহীপাড়া,নীলফামারী ।
অভিযান-২২৭
মুখ বুজে সহ্য আর নয়
শুরু হোক অভিযান,
বস্তা পঁচা গল্প ছেড়ে
গাই জীবনের জয়োগান ।
জ্বালাতে হবে জ্ঞানের মশাল
জাগাতে হবে সমাজ,
ঘুণে ধরা এই সমাজটাকে
ভাঙতে হবে আজ ।।
চলতে হবে উচ্চশীরে
অতীতকে আজ পিছে ফেলে,
সকল বাঁধা ছিন্ন করে
কুসংস্কারকে পায়ে দলে ।
গাইতে হবে জয়ের গান
মানুষ মহিয়ান,
সত্য পথে চালাতে হবে
সঠিক অভিযান ।।
তারিখঃ১৫-১-২০০৪ ইং
শাহীপাড়া,নীলফামারী ।
যদি পাশে থাকতে-২২৮
এমন শারৎ চাঁদনী রাতে
থাকতে যদি আমার সাথে,
রাত্রিটা হত বড় মধুর
সময়টা হত সুমধুর ।
সেই সুমধুর স্বপ্নময় ক্ষণে
স্বপ্নে বিভোর থাকতাম দু’জনে ।
সময় কেটে যেত হাসি আর গানে
সুখের ছোঁয়া লাগত দুটি প্রাণে ।
তব মুখ পানে চেয়ে কেটে যেত সময়
মনে হত সব কিছু নহে অভিনয় ।
কিন্তু এ শারৎ রাতে হায়
জানি কাছে পাব না তোমায় ।
কেটে যাবে রাত একা একা
হবে না তোমার সাথে কভু আর দেখা ।
শুধু চেয়ে থাকি একাকী,তারা ভরা আকাশে
মধুময় হত জীবন যদি তুমি থাকতে পাশে ।
তারিখঃ১৫-১-২০০৪ ইং
শাহীপাড়া,নীলফামারী ।
মিষ্টি মেয়ে -২২৯
আমরা এক সময় একই বাড়িতে থাকতাম ।
দু’জনে পড়তাম একসাথে একই স্কুলে ।
প্রতিদিন রাতের বেলা ছাদে উঠে
দু’জনে খুঁজতাম শুকতারা ।
যে তারাটিকে শুকতারা ভেবে খুঁজে পেতাম
সেটি শুকতারা ছিল কিনা তখন তা জানতাম না ,
তবুও সেই তারাটিকে খুঁজে পেয়ে
দু’জনে আনন্দে হতাম আত্মহারা ।
কখনো শুকতারা আগে খুঁজে পেতাম আমি
কখনো বা অনামিকা-
এভাবেই কেটে যেত সময় ।
হঠাৎ একদিন-
অনামিকার বাবা বদলি হয়ে যায়,
সপরিবারে চলে গেল তারা নতুন জায়গায় ।
যাবার বেলা আমাদের দু’জনের সেকি কাঁন্না ।
অবশেষে চলে গেল অনামিকা ।
অনামিকা যাবার বেলা বলে গেল
প্রতিদিন রাতের বেলা শুকতারা খুঁজবে সে ।
আর অনুরোধ করে গেল আমিও যেন
তার মত শুকতারা খুঁজি রাতের আঁধারে
আর স্মরণ করি তাকে ।
তারপর-
বহু বছর পেরিয়ে গেছে
বদলে গেছে অনেক কিছুই ।
তখন সবেমাত্র শিক্ষা জীবন শুরু
আর এখন শিক্ষা জীবনের পর্ব শেষ ।
জানি না-
এখন অনামিকা কোথায় আছে কেমন আছে ।
হয়তো দেখা হলে কেউ কাউকে চিনব না ।
তবু তাকে মনে পড়ে ,আর মনে পড়ে তার
সেই শেষ অনুরোধের কথা ।
অনামিকা এখন শুকতারা খুঁজে কি না জানি না,
তবে এখনো আমি রাতের আঁধারে
নিস্তব্ধ আকাশে শুকতারা খুঁজি আর ভাবি
আমার অতীতের শুকতারা খুঁজা সাথীটির কথা ।
অনামিকা আমাকে মনে রেখেছে কি না জানি না,
তবে এখনো আমি অনামিকা নামের
সেই বাল্য সাথীটির কথা মনে রেখেছি
আর রাতের আঁধারে নিস্তব্ধ আকাশের গায়
শুকতারা খুঁজেই যাচ্ছি ।
তারিখ:১৫-১২-২০০৩ ইং
শান্তি নগর,নীলফামারী ।
স্বপ্ন ভঙ্গ -২২২
আমারও একটা স্বপ্ন ছিল
ছিল সুন্দর মন ,
দু’চোখ তাই বারে বারে
স্বপ্ন দেখতো সারাক্ষণ ।
অনেক সাধের স্বপ্ন ছিল
ছিল কত আশা ,
মনের মত স্বপ্ন রঙিন
বাঁধব সুখের বাসা ।।
আমারও সুন্দর মন ছিল
ছিল সুখের স্বপ্ন,
দু;চোখ তাই বারে বারে
স্বপ্নে ছিল মগ্ন ।
হঠাৎ করে সুখের ঘরে
এলো সর্বনাশী ঝড়,
জীবনের ছক বদলে দিল
ভাঙলো সুখের ঘর ।।
এখন আমার সবাই পর
আপন ছিল যারা,
স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে এখন
হলাম ছন্ন ছাড়া ।
তারিখ:০২-০১-২০০৪ ইং
শাহীপাড়া,নীলফামারী ।
ঈদের আগমনে-২২৩
পড়েছে আনন্দের সাড়া
ঈদ এলো তাই,
চারিদিকে খুশির জোয়ার
যে দিকে তাকাই ।
খুসবু আতরের ঘ্রাণে
ভরিছে বাতাস,
ঈদের আগমনে খেলিছে খেলা
নির্মল নীলাকাশ ।।
সর্বত্র শান্তি-শুচিতা ভাব
ঈদের আগমনে,
ঈদ এনেছে শ্রদ্ধা-সম্প্রীতি
মানুষের মনে ।
ঈদের আগমনে সবার প্রাণ
খুশিতে উঠুক ভরি,
মানুষে মানুষে হউক সৌহার্দ্য ভাব
এই কামনা করি ।।
তারিখঃ৪-১-২০০৪ ইং
শাহীপাড়া,নীলফামারী ।
মিলন মেলা-২২৪
ঈদের দিনে সকাল বেলা
খুসবু আতর ছড়ায়,
সবার প্রাণে খুশির জোয়ার
মিলন মেলা ধরায় ।
সবার সনে মিশতে সবাই
ছুটে ঈদ ময়দানে,
সবার প্রাণে ভালবাসা
চারিদিক মুখরিত ঈদ মোবারক তানে ।।
সব খানেতেই শুচিতা ভাব
ঈদের দিনে সকাল বেলা,
শান্তির বাতাস বহে যেন
বসে মিলন মেলা ।
তারিখঃ৪-১-২০০৪ ইং
শাহীপাড়া,নীলফামারী ।
ইতিহাস-২২৫
এই বিশাল পৃথিবীতে
কত না লোকের বাস,
কত জনেই ইতিহাস খ্যাত
আবার অগোচরে রয়ে যায় কত জীবন ইতিহাস ।
কেউ থাকে তিন তলায়
কেউ কুঁড়ে ঘরে,
কারো আবার সুখের জীবন
কেউ অনাহারে মরে ।।
কেউ থাকে হাসি গানে
দিন যায় মহা সুখে ,
কেউ পড়ে থাকে গাছ তলায়
রাত কাটে বড় দুঃখে ।
কারো কথা পড়ি খবরের পাতায়
প্রত্যহ -প্রতিদিন,
কেউ অগোচরে পড়ে থাকে হতাশায়
গায়ে জড়িয়ে শত ঋণ ।।
রূপ-সৌন্দর্য-ঐশ্বর্য -প্রতিপত্তি
থেকেও কেউ নহে বরনীয়,
আবার সর্বহারা হয়েও কত জন পৃথিবীতে
হয়েছেন চির স্মরণীয় ।
এই বিচিত্র পৃথিবীতে
কত না লোকের বাস,
কত না কাহিনী লুকিয়ে আছে অগোচরে
আছে কত জীবন ইতিহাস ।।
তারিখঃ৪-১-২০০৪ ইং
শাহীপাড়া,নীলফামারী ।
আধুনিক মেয়ে -২২৬
আজকের দিনে মেয়েদের দেখি
মাথায় খাটো চুল,
অনেক সময় ছেলে ভেবে
হয় যে বড় ভুল ।
প্যান্ট পরে জিন্সের
পায়ে হাই হিল,
ছেলে দেখে অকারণে
হাসে খিল খিল ।।
গোড়ালির উপর পায়জামা পরে
ফাটা আবার তাও,
আধুনিক মেয়ের কান্ড দেখে
কাঁদে বাপ মাও ।
একা একা শপিং করে
শপিং কমপ্লেক্স এ যেয়ে,
দেখতে তো হবে ভাই
ওরা যে আধুনিক মেয়ে ।।
তারিখঃ১৫-০১-২০০৪ ইং
শাহীপাড়া,নীলফামারী ।
অভিযান-২২৭
মুখ বুজে সহ্য আর নয়
শুরু হোক অভিযান,
বস্তা পঁচা গল্প ছেড়ে
গাই জীবনের জয়োগান ।
জ্বালাতে হবে জ্ঞানের মশাল
জাগাতে হবে সমাজ,
ঘুণে ধরা এই সমাজটাকে
ভাঙতে হবে আজ ।।
চলতে হবে উচ্চশীরে
অতীতকে আজ পিছে ফেলে,
সকল বাঁধা ছিন্ন করে
কুসংস্কারকে পায়ে দলে ।
গাইতে হবে জয়ের গান
মানুষ মহিয়ান,
সত্য পথে চালাতে হবে
সঠিক অভিযান ।।
তারিখঃ১৫-১-২০০৪ ইং
শাহীপাড়া,নীলফামারী ।
যদি পাশে থাকতে-২২৮
এমন শারৎ চাঁদনী রাতে
থাকতে যদি আমার সাথে,
রাত্রিটা হত বড় মধুর
সময়টা হত সুমধুর ।
সেই সুমধুর স্বপ্নময় ক্ষণে
স্বপ্নে বিভোর থাকতাম দু’জনে ।
সময় কেটে যেত হাসি আর গানে
সুখের ছোঁয়া লাগত দুটি প্রাণে ।
তব মুখ পানে চেয়ে কেটে যেত সময়
মনে হত সব কিছু নহে অভিনয় ।
কিন্তু এ শারৎ রাতে হায়
জানি কাছে পাব না তোমায় ।
কেটে যাবে রাত একা একা
হবে না তোমার সাথে কভু আর দেখা ।
শুধু চেয়ে থাকি একাকী,তারা ভরা আকাশে
মধুময় হত জীবন যদি তুমি থাকতে পাশে ।
তারিখঃ১৫-১-২০০৪ ইং
শাহীপাড়া,নীলফামারী ।
মিষ্টি মেয়ে -২২৯
রিসা নামের মিষ্টি মেয়ে
মিষ্টি তার হাসি,
তার মুক্তো ঝরা মিষ্টি হাসি
বড় ভালবাসি ।
মিষ্টি হাসি মধুর কথা
বড় ভাল লাগে,
তার প্রেমে পড়তে আমার
বড়ই সাধ জাগে ।।
দেখা হলেই মিষ্টি হেসে
পাশ কেটে যায় সে,
মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগে
সেকি আমায় ভালবাসে ?
মায়াবী চোখে তাকিয়ে থাকে
যখন কথা বলি,
দেখে তাকে মনে হয়
রাঙা গোলাপ কলি ।।
মিষ্টি হাসি মধুর কথা
মিষ্টি মেয়ে রিসা,
ইচ্ছে করে তার প্রেমে পড়ে
হারিয়ে ফেলি দিশা ।
তারিখঃ৩০-১-২০০৪ ইং
শাহীপাড়া,নীলফামারী ।
দুটি কবিতা-২৩০
১
যে সময় চলে যায়
আসে না ফিরে আর,
জীবনে সময় ও সুযোগ
আসে না বার বার ।
২
অতীতের দিনগুলি কভু
আসে না ফিরে আর,
স্মৃতি হয়ে থাকে মনে
মনে পড়ে যায় বার বার ।
তারিখঃ১৭-২-২০০৪ ইং
শাহীপাড়া,নীলফামারী ।
জিজ্ঞাসা- ২৩১
সুন্দর পৃথিবী যদি একদিন
ছেড়ে যেতে হয়,
সুন্দর প্রেয়সীর রূপ যদি
হয় অবক্ষয় ।
জিজ্ঞাসা করি; তবে পৃথিবীটা একটা
ক্ষণিকের আড্ডা,
নাকি পথি মধ্যে পথিকের
ক্ষণিকের পরিচয় ।।
রূপ,সৌন্দর্য,প্রতিপত্তি
ঐশ্বর্য,সম্পদ,ধন,
শেষ বিদায়ের অন্তিম কালে
সবি নিষ্প্রয়োজন ।
হে নর সবি যদি নশ্বর
জিজ্ঞাসা করি;গড়ো কেন রনাঙ্গণ ?
মিথ্যে রনাঙ্গণ গড়ে নিজ ফাঁদে নিজে পড়ে
করো কেন মিথ্যের তরে রণ ।।
কেউ রবে না এ পৃথিবী মাঝে
তবে কি লাভ করে মিথ্যে রণ ?
জিজ্ঞাসা করি বিশ্ব বিবেক কে
তাই অকারণ হানাহানি নিষ্প্রয়োজন ।
২০.০২.২০০৪
শাহীপাড়া,নীলফামারী
চুম্বন- ২৩২
চুম্বনে চিনি নেই
তবু খেতে মিষ্টি,
চুম্বন বিধাতার
আজব এক সৃষ্টি ।
চুম্বনে মধু নেই
তবু লাগে মধুর,
জননী সন্তানকে,প্রেমিক প্রিয়াকে
স্বামী চুম্বন এঁকে দেয় গালে সলজ্জ বধুর ।।
চুম্বন নহে চুম্বক
তবু করে আকর্ষণ,
তাই সদাসক্ত চুম্বনের প্রতি
মানুষের মন ।
চুম্বনে মিটে না প্রাণের পিপাসা
যেমন পিপাসা মেটায় জল,
তবু চুম্বনের মত মধুর স্বাদ
জগতে বিরল ।।
চুম্বন নহে মিষ্টি
তবু চুম্বন খেতে মিষ্টি,
তাই চুম্বন বিধাতার
আজব এক সৃষ্টি।
২২.০৩.২০০৪
শাহীপাড়া,নীলফামারী ।
তারে আর দেখিব না - ২৩৩
তারে আর দেখিব না কোন দিন
সে যে আর আসিবে না সম্মুখে,
স্মৃতি গুলো অমলিন
চিরদিন রবে এ বুকে ।
হাসি মাখা মুখ নিয়ে এলোকেশে
সে যে আসিবে না আর,
স্মৃতির খাতায় খুঁজি স্বপ্নে দুচোখ বুঁজি
মনে পড়ে শুধু তারে বার বার ।।
তার পথ ধরে এই পথ ছেড়ে একদিন
আমাকেও যেতে হবে হায়,
তবু তারে ভাবি শুধু অকারণ ভাবি
ভেবে ভেবে দিন কেটে যায় ।
যত দিন এ পৃথিবী বুকে
বেঁচে রবো সুখে দুঃখে,
ততদিন তার স্মৃতি রবে আঁকা
আমার এ শূন্য বুকে ।।
২৬.০৪.২০০৪
শাহী পাড়া,নীলফামারী
জীবন গাঁথা - ২৩৪
কিছু স্মৃতি কিছু কথা
কিছু সুখ কিছু ব্যথা,
কিছু হাসি কিছু কাঁন্না
এই নিয়ে জীবন গাঁথা ।
কত মায়া মমতা
কত না আকুতি প্রাণের টান,
প্রেম ভালবাসা ভরা হৃদয়
বেদনা ভরা ব্যথিত পরাণ ।।
কত না আশা কত হতাশা
কত না মিলন বিরহ,
উত্থান পতন,ভাঙ্গা গড়া
এ জীবনে ঘটছে অহরহ ।
নিত্য নতুন ঘটনা ঘটে
ভরছে স্মৃতির খাতা,
এক জীবনের কাহিনী নিয়েই
গড়া জীবন গাঁথা ।।
৩০.০৫.২০০৪
শাহীপাড়া,নীলফামারী
বর্ষার কাঁন্না -২৩৫
আজ শুধু ঝরে বারি ধারা
ঝরে বার বার,
বিরহীর কাঁন্না সম ঝরিছে বারি
আজ বর্ষার ।
গুমরে গুমরে আজ কাঁদে হৃদয়
ভরিছে বুক দু'চোখের জলে,
গোপনে গোপনে বিরহী মন
কত কথাই বলে ।।
অতীত স্মৃতির পশরা নিয়ে আজ
হৃদয় দুয়ারে দাঁড়ায়,
মনে পড়ে সোনালী দিনের স্মৃতি
যে দিন গিয়েছে হারায় ।
বিরহী কাঁদে নিভৃতে নির্জনে
শুধু চোখে ঝরে জল,
তেমনি বুঝি আজ কাঁদিছে বর্ষা
কাঁদিছে অবিরল ।।
বিরহী হৃদয় কাঁদে যেমন
কাঁদে বার বার,
তেমনি ঝরিছে বারি
আজ বর্ষার ।
২১.০৬.২০০৪
শাহীপাড়া,নীলফামারী
ভাগ্যহীন - ২৩৬
আমি বড় অসহায় বড় ভাগ্যহীন
কেউ তালকে তিল করে কেউ তিলকে করে তাল
আমি পারি না কিছুই করিতে- বড় কষ্টে কাটে দিন
আমার এ ইঁদুর কপাল ।
মনে মনে ভাবি এসেছে বুঝি সুখের দিন
বদলে যাবে বুঝি ভাগ্যের লেখা,
ফুটেছে বুছি কপালে সুখ রেখা
জীবনে এসেছে শান্তির বার্তা,থাকব না ভাগ্যহীন ।
বাস্তবে দেখি যেমন ছিলাম তেমনি আছি
আসেনি জীবনে সুখের দিন
দিন কাটে বড় কষ্টে ,কষ্টে আছি বেঁচে
যেমন ছিলাম ভাগ্য হীন ।
খেটে মরি তবু বদলায় না ভাগ্য রেখা
ভাগ্য বিধাতা দিয়েছেন লিখে কপালে যে লেখা ।
১৮.০৭.২০০৪
নিজ বাস ভবন,মাস্টার পাড়া
নয়ানী বাগডোকরা,ডোমার
মনে হয় শুয়ে থাকি - ২৩৭
এই খানে শুয়ে আছি দেওনাই নদীর তীরে
নিবিড় বনের ছায়ায়; পাশে শিমুল তলীর মাঠ
নদীর চরে বসেছে পাখির মেলা- অদূরে কালীতলার ঘাট
শুয়ে আছি একাকী,সূর্যটা পশ্চিমে হেলছে
ধীরে ধীরে ।
গভীর প্রশান্তিতে ভরে আছে মন,মাথার পরে নীল
আকাশ । মাঠে চড়ছে গরুর দল
গাছের ছায়ায় বসে রাখাল বাঁশি হাতে -নেই কোলাহল
কোথাও । একটু দুরে শাপলা ফোঁটা বিল ।
চারিদিকে সবুজ ধান ক্ষেত- নদীর চরে কাঁশ
বন,পূবে আখ ক্ষেত,কাটা বন
পাখির ঝাঁক উড়ে যায় বহুদুর- বিরাট আকাশ
মাথার পরে,অজানা এক শিহরনে ভরে আছে মন।
মনে হয় শুয়ে থাকি অনন্তকাল এইখানে নদীর তীরে
স্বপ্ন-প্রশান্তি-সুখ হেথা থাকে সদা
ঘিরে ।
২৪.০৭.২০০৪
নিজ বাস ভবন,মাস্টার পাড়া ।
নয়ানী বাগডোকরা,ডোমার ।
নীলাঞ্জনা - ২৩৮
নীলাঞ্জনা আজ তুমি আমার হতে
বহু দুরে সরে আছ,
এ হৃদয়টাকে নিঃশেষ করে বহু যন্ত্রণা দিয়ে
আমাকে অকূল দরিয়ায় ভাসিয়ে গেছ ।
এ পৃথিবীতে তুমিও থাকবে না আমিও থাকব না
অমর হয়ে চিরদিন,
তবু কেন যে তুমি দূরে চলে গেলে
বাজিয়ে বুকে দুঃখের বীন ।
সেই দিনের সব স্মৃতি ভুলে গেছ বুঝি
ভুলে গেছ সব কথা,
আমি পারি নি ভুলিতে কিছুতেই
মনে পড়লে অতীত কথা পাই যে বড় ব্যথা ।
জীবন চলছে জীবনের গতিতেই
শুধু তুমি আমার পথে চললে না
বুকের মাঝে দিবানিশি এখনো বাজে
একটি নাম "নীলাঞ্জনা" ।
২৫.০৮.২০০৪
নিজ বাস ভবন,মাস্টার পাড়া
নয়ানী বাগডোকরা
শ্রাবণ সন্ধ্যা -২৩৯
এমন ঘনঘোর বর্ষণ মুখর
শ্রাবণ সন্ধ্যায়,
সময় কাটতো বড় সুখে
যদি কাছে পেতাম তোমায় ।
বাঁধন হারা বৃষ্টি ধারা
ঝরছে অবিরাম,
স্বর্গ সুখে ডুবে থাকতাম
যদি তোমায় কাছে পেতাম।
এমন শ্রাবণ সন্ধ্যায়
তুমি হীনে আমি বড় একা,
তোমার বিরহে গাই কত গান
লিখি কত লেখা ।
তুমি তো এসে মোর গান
শুনিবে না কভু,
লিখে যাই কত কবিতা
গেয়ে যাই কত গান তবু।
এমন শ্রাবণ সন্ধ্যায় তুমি সখি
সরে আছ বহু দুরে,
তুমি তো আসবে না কাছে কভু
শুধু শ্রাবণ সন্ধ্যা আসে ফিরে ঘুরে ঘুরে ।
৩১.০৮.২০০৪
নয়নী বাগডোকরা(মাস্টার পাড়া)
ডোমার,নীলফামারী
বাহন -২৪০
টাকায় টাকা আনে
ব্যবহারে সম্মান,
অর্থই সুনাম ছড়ায়
শিক্ষায় বাড়ায় মান।
শ্রমে হয় সুস্বাস্থ্য
প্রফুল্ল থাকে মন,
দুনিয়াতে টাকা ছাড়া
দ্বিতীয় ঈশ্বর কেহ নন ।।
আশা হচ্ছে জীবন তরী
আশাই চলার বাহন,
স্বপ্ন দেখি স্বপ্ন ভাঙ্গে
তবুও স্বপ্ন দেখে মন ।
০২.০৯.২০০৪
নয়নী বাগডোকরা(মাস্টার পাড়া)
ডোমার,নীলফামারী
ছবিঃ সংগৃহীত