গীতায় ভগবান শ্রী কৃষ্ণ বলেছেন,জ্ঞানের ন্যায় পবিত্র আর কিছু নেই । সে কথা বেদ,উপনিষদও বার বার বলা হয়েছে । আমাদের উচিৎ শুদ্ধ জ্ঞান অর্জন করা ।
আমরা দেখি বিভিন্ন স্থানে তিন চার দিন ব্যাপী এক নাম কীর্তনের আসর বা লীলা কীর্তনের আসর চলে। এক নাম জপ করতে হয় একাগ্র মনে,অথচ আমরা কীর্তনের আসর বসিয়ে দিচ্ছি,অথচ সেখান থেকে সনাতনীরা না পারছে নিজের ধর্ম সম্পর্কে জানতে,না পারছে একাগ্র মনে ঈশ্বরকে স্মরণ করতে।
বেশির ভাগ মানুষ হয়তো কীর্তনের আসরে যায় বিনোদনের জন্য,নয়তো স্বজনদের সাথে দেখা সাক্ষাত করার জন্য।
অথচ তিন চার দিনের মধ্যে একদিন বা দুই দিন যদি ধর্ম সম্পর্কে বক্তব্য দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা যেত,তাহলে সনাতনীরা নিজের ধর্ম সম্পর্কে কতই না জ্ঞান অর্জন করতে পারতো ।
চার দিন ব্যাপী এক নাম শুনে মানুষ নিজের ধর্ম সম্পর্কে তেমন কিছুই অর্জন করতে পারে না,কোন কিছু জিজ্ঞাসা করলে উত্তর দিতে পারে না। যে ধর্মীয় অনুষ্ঠান করে ধর্ম সম্পর্কে কোন জ্ঞান অর্জন করা যায় না,ধর্মের ব্যাপারে তেমন কিছু জানতে পারা যায় না,তাহলে এমন ধর্মীয় অনুষ্ঠান করে কার কি লাভ হয় সেটা ঠিক আমার জানা নেই ।
কিছু কিছু পদাবলী বা লীলা কীর্তনের আসর হয়,সেখানে যারা কীর্তন করেন,বেশির ভাগ কীর্তনিয়া
ভুলভাল তথ্য প্রদান করেন ।
আমাদের উচিৎ নিয়মিত ধর্মীয় আলোচনার আয়োজন করা ।
যেখানে এক নাম বা পদাবলী লীলা কীর্তন হয়,সেই সব আসরে একদিন বা দুই ঘন্টার জন্য হলেও ধর্মীয়
আলোচনার অনুষ্ঠান করা উচিৎ । নিজের ধর্ম সম্পর্কে
জানতে হবে,আর জানার জন্য আলোচনা সভার বিকল্প নেই।
সনাতনী হিন্দুদের বলতে চাই,আপনারা শুধু মাত্র এক নাম কীর্তনের আয়োজন না করে,লীলা কীর্তনের আসর না বসিয়ে পাশাপাশি ধর্মীয় আলোচনার অনুষ্ঠান করুন। আলোচনা করলে জ্ঞান বৃদ্ধি পায়,নতুন নতুন তথ্য জানতে পারা যায়।
0 Comments