ডোমার,নীলফামারী |
শরতের স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নার রাত্রি ভালোলাগা হৃদয়কে ছুঁয়ে যায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। শরতকালেই সকাল বেলায় কুয়াশা পড়া শুরু হয়। শরতের সকাল বেলার কুয়াশা মাড়িয়ে খালি পায়ে চলতে কার না মন চাই। সে এক আনন্দময় সুখকর স্মৃতি। সেই সাথে কুয়াশার উপরে যখন সকালের সোনালী রবির আলো এসে পড়ে তখন শিশির বিন্দু মুক্তার দানার মতো উজ্জ্বল হয়ে উঠে। সেই দৃশ্য আরও চমৎকার। দখিনের সমীরণ খুলে শরতের নির্মল স্নিগ্ধ কোমল চাঁদের আলো সবার কন্ঠকেই সুরময় করে তুলে। এই তো সময় মন আমার হারিয়ে যাওয়ার।
এছাড়াও মাঠে মাঠে বর্ষার সবুজ ধানের ওপর সোনালি আলোর ঝলমলানির মুগ্ধতা। আলোক-শিশিরে-কুসুমে-ধান্যে বাংলার প্রকৃতিও খুশি। শরতের শান্ত বিলের পানিতে যেন আকাশের মেঘ বালিকা নেমে এসেছে। বিলের পানিতে আকাশের মেঘের ভেলা ভেসে বেড়ানোর প্রতিচ্ছবি দেখে কার না মন আনন্দে নেচে উঠে। সেই সাথে যদি বাতাসে ভেসে আসে শাপলা শালুক ফুল ও অন্যান্য জলজ উদ্ভিদের মৌ মৌ সুবাসিত গন্ধ মন ভালো না হয়ে পারে কি। এমনই সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে আপনার মন ফিরে আসতে মানা করবেই। শত কাদাময় মনে কে মুহূর্তের মধ্যেই পবিত্র কোমল নির্মল স্বচ্ছ মন তৈরী করতে পারে শরৎ এমনটাই মনে করেন বাংলা সাহিত্যের অনেক কবি সাহিত্যিক।
0 Comments