Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

পূজা প‌রিক্রমা,২০১৮

                                                             
সবাই যে যার মত পূজা নি‌য়ে ব্যস্ত । আমি এবার বা‌ড়ি‌তেই গেলাম না । অনে‌কেই অনেক কেনাকাটা করে‌ছে । অনেক দিন থে‌কে পূজা উপল‌ক্ষে আমি কেনা কাটা ক‌রি না । এবার প্যান্ট শার্ট কেনা জরুরী হ‌য়ে প‌ড়ে‌ছে । আগে ইনকাম করতাম কম , বে‌শি দাম দি‌য়ে পোশাক কিনতাম। এখন কম দা‌মে কোথায় ভাল পোশাক পাওয়া যায় সেটাই খুঁ‌জে বেড়াই । অনি‌কের সা‌থে স্কয়ার মাস্টার বা‌ড়ি থে‌কে শে‌ষে ১৩৫০ টাকা দি‌য়ে তিনটা জিন্স্ প্যান্ট ও একটা শার্ট কিনলাম । কেনা কাটা টা শেষ পর্যন্ত হ‌য়েই গেল । বা‌কি থাকল শুধু ঠাকুর দেখা । ওটাও করতে হ‌বে ।
আজ বিজয়া দশমী । সকা‌লে পার‌ভে‌জের সা‌থে গেলাম বরমী বাজা‌রে ঠাকুর দেখ‌তে । আট টা মন্ড‌বে ঘুরলাম । ২০১৮ সা‌লে এটাই আমার পূজা প‌রিক্রমা । প্রথমে মাওনা গেলাম । সেখানে সি এন জি নিয়ে রওনা দিলাম বরমীর উদ্দেশ্যে । শুনেছিলাম বরমী নাকি অনেক প্রাচীন বাজার । শ্রীপুরের মধ্যে এক সময় বরমী নাকি ছিল বাণিজ্যিক কেন্দ্র । মাওনাতে ফ্লাইওভারটা হওয়ার পর থেকে সব কিছু মাওনা কেন্দ্রিক হতে শুরু করেছিল । বরমীতে হিন্দুদের আধিপত্য ছিল এক সময় । এজন্যই নাকি বরমীতে অনেক পূজো হয় এখনো ।


 

বরমী যেতে যেতে গ্রামের দৃশ্য খুবই ভাল লাগছে । কত দিন গ্রামে যাওয়া হয় না । গ্রামের কথা মনে পড়ছে বার বার । আমরা বরমীতে যখন  পৌঁছিলাম ,ততক্ষণে পূজা শেষ । মনটা খারাপ হয়ে গেল । আমরা একটা মন্ডব থেকে আরেকটা মন্ডবে ঘুরতে লাগলাম । দেখলাম,সত্যিই বরমীতে হিন্দুদের আধিক্য । আশে পাশেই দশ বারোটা পূজা মন্ডব । আমরা আটটা মন্ডবে ঘুরলাম । কোন কোন মন্ডবে দেখলাম মেয়ে আর মহিলারা সিঁদুর খেলছে । আমরা হেঁটে হেঁটে ঘুরলাম । খুবই ভাল লাগলো নতুন জায়গায় এসে । অনেক গোরাঘুরি করলাম । শেষে কিছু খেয়ে বাসার দিকে রওনা দিলাম। আসার সময় শ্রীপুর হয়ে রওনা দিলাম । আশা ছিল বিশমিল্লাহ হোটেলে দুপুরের খাবার খাব । গিয়ে দেখি খাবার তেমন নেই । তাই অন্য একটা হোটেলে খেয়ে বাসার দিকে রওনা দিলাম । সাড়াটা দিন বেশ ভালেই কাটলো । ২০১৮ সালের পূজা পরিক্রমা আজ এখানেই শেষ হল । যদিও বাড়িতে যাই নি তবুও শেষের দিনে পূজাটা ভালই কাটলো । 
                                        

















































Post a Comment

0 Comments