Three years later I visit Sundor Khata, Dimla.
![]() |
Payel & Annopurna |
তিন বছর পর সুন্দর খাতায় গেলাম বেড়াতে ,ভাইয়ের শ্বশুর বাড়িতে । তিন তিনটা বছর জীবন থেকে কেটে গিয়েছে । তিন বছরে জীবনে ঘটেছে কত পরিবর্তন । কত কিছুই বদলে গেছে । কত জনেই দুনিয়ার মায়া ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছে পরপারে । জীবনের নিয়মেই হল ছুুটে চলা । একদিন কত কিছুই ছিল ,আজ অনেক কিছুই নেই । শুধু রয়ে গেছে কিছু টুকরো স্মৃতি ।
বাড়িতে আসার পর থেকে সবাই বলছে তাঐ মশায়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য । গোলাপীর সাথে অনেক দিন দেখা হয় নি । তার মেয়ের বয়স চার পেরিয়ে গেল । শেফালীর বর কে দেখি নি । অনেক দিন দীপ্তির সাথেও দেখা হয় নি । আমি গেলে সবাই আসবে সুন্দর খাতায় । বৌদিও বলল ,চল সুন্দর খাতায় । গেলে সবার সাথে দেখা হবে । সবাই তোকে দেখবে । ভাবলাম প্রস্তাবটা মন্দ না । তাই তাদের কথায় রাজি হলাম । হাতে সময় কম ,ছুটিও প্রায়ই শেষের দিকে । এত কম সময়ে গিয়ে আবার আসতে হবে ।
বৌদি ও পায়েলের সাথে গেলাম সুন্দর খাতায় । আমাকে দেখে সবাই ভীষণ খুশি । তিন বছর পর ওদের বাড়িতে গেলাম । চারিপাশের অনেক কিছুিই বদলে গেছে । ছোট ছেলে মেয়েরা এখন অনেক বড় হয়ে গেছে । দেখে অনেক ভাল লাগলো । তিন বছরে আমিও বেশ বদলে গেছি । তিন বছর পর গেলাম তাঐ মশায়ের বাড়িতে । পাঁচ বছর পর গোলাপীর সাথে দেখা হল । একটা সময় ছিল প্রায় প্রতি দিন কথা হতো তার সাথে । আর এখন মাসেও একবার হয় না । সময় মানুষকে অনেক দূরে নিয়ে যায় । সময়ের চেয়ে এত শক্তিশালী মনে হয় আর কিছু নেই ।
এই প্রথম বার শেফালীর স্বামীকে দেখলাম । যদিও এর আগে মোবাইলে কয়েক বার কথা হয়েছিল । শেফালীর ইচ্ছে ছিল ,তার বিয়ের কেনা কাটা যেন আমি করিয়ে দেই ,কিন্তু তার সে ইচ্ছে আমি পূরন করতে পারি নি । কয়েক বছর পর সবার সাথে দেখা হয়ে খুবই ভাল লাগলো । মাঝে মাঝে আত্মীয়র বাড়িতে যেতে হয় ,না হলে অনেক কিছুই মিস হয়ে যায় । জীবন তো একদিন যাবেই ,সে জন্য সবার সাথে সময় ও সুযোগ করে দেখা সাক্ষাৎ করা উচিত । আত্মীয় স্বজনের সাথে দেখা করলে হৃদয়ের টান বেড়ে যায় । মনের সাথে মানের একটা মিল তৈরি হয় । এবার ডিমলায় বেড়াতে এসে খুবই ভাল লাগলো । দিনটি আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে । কিছু কিছু ছবি তুলে নিলাম । অনেক সময় ছবিও কথা বলে ।