তারিখঃ১৬/০১/২০২০ ্ইং
অনেক প্রতীক্ষার পর অবশেষে বন্ধন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির ঋণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করতে পারলাম আমরা । ১৬ ই জানুয়ারী ২০২০ইং তারিখে প্রথম ঋণ বিতরণ করা হয় । প্রথম তিন জন সদস্যকে ঋণ দেওয়া হয় । দুই জন মহিলা সদস্য ও একজন পুরুষ সদস্য । মহিলা দুজন হল আমার বৌদি পল্লবী রায় আর সুশীলের বউ স্বপ্না রায় । আমি আর সুশীল যেহেতু সমিতির পার্টনার ,সেহেতু সুশীলের কথা আমাদের মধ্যেই দু্’একজন প্রথম ঋণগ্রহীতা হিসেবে রাখা ভাল । ভবিষ্যতে আমাদের সমিতির ইতিহাসে তাদের নাম স্মরণীয় হয়ে থাকবে ।
আমাদের কিস্তির ধরণ হল দৈনিক হিসেবে । আমরা প্রথম ১২% হারে সার্ভিস চার্জ নেব । পাঁচ জন পার্টনার ৫০ হাজার করে প্রথমে বিনিয়োগ করব । ধীরে ধীরে ছয় মাস অন্তর আলোচনা সাপেক্ষে আবারো বিনিয়োগ করব । আমাদের লক্ষ্য হল,পাঁচ বছর আমরা কোন সুবিধা আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে নেব না । আগে মোটা অংকের একটা মূলধন দাঁড় করাতে হবে । মূল ধন বেশি হলে আমরা বেশি বেশি লাভ বান হব ।
আজ হয়তো আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছি । এমনি দিন বা সময় আসতে পারে, যেদিন হয়তো জাতীয় ভাবে আমাদের কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে পারি । আমাদের স্বপ্ন হল আকাশ সমান । একদিনে কেউ বড় হয় না । বিন্দু বিন্দু জল কণা দিয়েই তো সাগরের সৃষ্টি হয় । অনেকেই আমাদের নিয়ে নানা কথা বলাবলি করছে । কেউ কেউ আমাদের পাগলামী হিসেবে আখ্যায়িত করছে । তাতে আমরা কোন কর্ণপাত করছি না । আমরা আমাদের লক্ষ্যে এগিয়ে চলছি ।
দুই আড়াই মাস অনেক পরিশ্রমের পর আজ আমরা আমাদের কাংক্ষিত কার্যক্রম শুরু করতে পারছি ,এটা ভেবেই আমরা শিহরিত,আনন্দিত । অনেক চড়াই ,উতরাই পেরিয়ে শেষে যে আমাদের প্রধান কার্যক্রম শুরু করতে পারছি ,এতেই আমরা অনেকাংশে সফল । এ দিনটার জন্যই আমরা এতদিন প্রতিক্ষায় ছিলাম । এ দিনটার জন্য আমাদের অনেক দৌঁড় ঝাঁপ করতে হয়েছে । দিন রাত কাজ করতে হয়েছে । একটা কাজ শুরু করতে অনেক পরিশ্রম আর পরিকল্পনা করতে হয় । আমরা পাঁচ জন পার্টনার এটার জন্য অনেক চিন্তা ভাবনা করেছি । কিভাবে কার্যক্রম শুরু করতে হবে । কাজ পরিচালনা করতে হবে । সব কিছু নিয়ে আমরা সব সময় আলোচনা করতাম । আমাদের এতদিনের পরিশ্রমের ফলে আজ এদিনটা পেলাম ।
সভাপতি নির্বাচন করেছি বকুলদাকে,সহ সভাপতি রমানাথ দা আর সম্পাদক হল সুশীল । আমাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ভবেন কাকুকে । আমদের মাঝে স্বভাবতই আজ একটু বেশি উত্তেজনা বিরাজ করছে । সবাই যেন আনন্দিত আর খুশি । এ প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে আমদের অনেক স্বপ্ন ,অনেক আশা ।
বিকাল বেলা সুশীল বৌদিকে আর তার বৌকে আমাদের অফিসে নিয়ে এসেছে । দু’জনে পাঁচ হাজার করে টাকা ঋণ নেবে । আমাদের এখনকার লক্ষ্য হল বাজারের ব্যবসায়ীদের ঋণ দেওয়া । এর মাঝে দু’চার জন গৃহিনী রয়েছে । আমাদের প্রথম লক্ষ্য হল বাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে ঋণ বিতরণ করা । যখন আমরা বড় পর্যায়ে যেতে পারব ,তখন আমরা সাপ্তাহিক কার্যক্রম চালু করব । সন্ধ্যা বেলা সবাই অফিসে গিয়েছে শুধু আমি ছাড়া । সব সময় আমি তাদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ রাখছি । বিশেষ করে সুশীলের সাথে প্রতিনিয়ত কথা বলি । রাতের বেলা সাড়া দিনের আপডেট নেই । বিভিন্ন রকম পরামর্শ দেই । বৌদিকে বলেছিলাম ঋণ নিয়ে একটা ডিপিএস করার জন্য । আমরা চাই আমাদের সহায়তায় যেন মানুষ স্বাবলম্বী হতে পারে ।
অর্থনৈতিক মুক্তিই মানুষের প্রকৃত স্বাধীনতা । অভাব অনটন নিয়ে কখনো ভাল সুখী ও শান্তিময় জীবন যাপন করা সম্ভব নয় । আমরা চাই এলাকার মানুষকে একটা দারিদ্রমুক্ত জীবন দিতে । আমাদের কিছু শ্লোগান রয়েছে । আজকের সঞ্চয় আগামীর মূলধন. বিন্দু থেকেই বৃত্ত ,সঞ্চয় করুন,ভবিষ্যৎ গড়ুন ইত্যাদি ।
পরিশেষে আজকের কার্যক্রম ভাল ভাবেই শেষ হয়েছিল । তিন জন সদস্যকে আমরা আজ ঋণ দিয়েছি ।প্রথম দিনেই বিশ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে । প্রথম দিনে বিতরণ কাজে আমরা অনেক খুশি । আমাদের প্রতিষ্ঠানের কথা এখনো তেমন ভাবে এলাকায় প্রচার হয় নি । আজ থেকে মানুষ অল্প অল্প করে জানতে পারবে । এলাকায় আমরা ধীরে ধীরে প্রভাব বিস্তার করব । কয়েকজন কে সম্মুখে রেখে দিয়েছি । আমি এখানে মঞ্চের পিছনের লোক হিসেবে রয়েছি । আমাকে মানুষ তেমন দেখতে পারবে না । আমি থাকব নেপথ্যে ।
বেশ কিছুদিন থেকেই সুশীল আমাকে প্রস্তাব করেছিল এমন একটি প্রতিষ্ঠান করার জন্য । আমি সময় দিতে পারি নি । এবার পুজায় বাড়িতে গিয়ে সম্মতি দিয়েছিলাম । পরে সন্তোষকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম । সে আবার রমানাথ দাকে নিয়ে এসেছিল । পরে অফিস ভাড়া নিতে গিয়ে বকুলদা পার্টনার হয়েছিল । এরপর অনেকেই পার্টনার হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং করছে । আমরা আর পার্টনার এর সংখ্যা বাড়াব না । পাঁচ জনেই থাকব । পঞ্চপান্ডব ,পাঁচ তারকা,ফাইফ স্টার যে নামেই হোক আমাদের এগিয়ে যেতে হবে এটাই বড় কথা ।
অনেক গুলো নাম থেকে বন্ধন নামটা আমরা পছন্দ করেছিলাম । আমরা চাই একটা বন্ধন পরিবার গড়ে তুলতে । এর পর আমাদের লক্ষ্য হল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করা । প্রথমে আর্থিক ,এরপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ,তারপর আমাদের অন্য ব্যবসায় হাত দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে । একটাতে সফল হতে পারলে পরের গুলো আমরা অনায়াসেই শুরু করতে পারব ।আজ যখন আমরা ঋণ বিতরণ করতে পেরেছি , আগামীতে নিশ্চয়ই অন্য পরিকল্পনাও সফল করতে পারব ।
আজ ঋণ বিতরণ মানেই মুনাফার দেখা পাওয়া । বিশ হাজার টাকায় আমাদের মুনাফা আসবে দুই হাজার চার শত টাকা । প্রতিদিন আসবে চব্বিশ টাকা মুনাফা । আজ হয়তো প্রতিদিন আসবে চব্বিশ টাকা ,এরপর হয়তো আসবে চব্বিশ হাজার,এর পর লাখ বা কোটিতেও যেতে পারে । মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় । স্বপ্ন দেখতে হয় আকাশ বা পাহাড় সমান । আকাশ সমান স্বপ্ন দেখলে ঘরের ছাদ পর্যন্ত হয়তো স্বপ্ন পুরন হবে ,আর ছাদ সমান স্বপ্ন দেখলে তখন হয়তো খাটের তল পর্যন্ত পুরন হবে । এজন্য সব সময় আমাদের উচিৎ আকাশ সমান স্বপ্ন দেখা ।
অনেকে শুধু স্বপ্ন দেখেই চলে ,সে হিসেবে কাজ করে না । শুধু স্বপ্ন দেখলে কখনো লক্ষ্য স্থলে পৌঁছানো যায় না । স্বপ্ন দেখার সাথে সাথে পরিকল্পনা মত কাজ করতে হবে ,তবেই স্বপ্ন আমাদের হাতে এসে ধরা দেবে । আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম বলেই আজ সমিতির শুরু থেকে আজ ঋণ বিতরণ করতে পেরেছি । আমরা কয়েকটা মাস অনেক পরিশ্রম করেছি বলেই আজ একটা জায়গায় এসে দাঁড়াতে পেরেছি । জানি না আমরা কত দুর যেতে পারব ,তবে এলাকায় যে নতুন কিছু করতে পেরেছি এটাই বা কম কিসে ।
আমাদের দেখে অনেকই হয়তো এমন অনেক প্রতিষ্ঠান করবে ,তবে প্রথম তো আমরাই করেছি এটা তাদের স্বীকার করতেই হবে । আমরা যে কিছু লোকের চোখে স্বপ্ন দেখার পথ তৈরি করে দিচ্ছি এটা কোন অংশেই কম নয় । কত দুর যেতে পারব,কি করতে পারব সেটা বড় কথা নয়, সব চেয়ে বড় কথা হল এমন প্রত্যন্ত এলাকায় এমন একটি উদ্যোগ নেওয়ার সৎ সাহস দেখাতে পেরেছি ,নতুনদের সাহস যুগিয়েছি ।
আমরা সামনের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য একত্রিত হয়েছি । সবাইকে একই সুত্রে বাঁধার জন্য বন্ধনের সৃষ্টি । আমরা চাই বন্ধন যেন একটি পরিবার হিসেবে দেশ ছাড়িয়ে দিকে দিকে ছড়িয়ে যায় । ঈশ্বরের কৃপা আর মানুষের ভালবাসা থাকলে কোন বাঁধাই আমাদের পথ আটকাতে পারবে না ।
অনেক প্রতীক্ষার পর অবশেষে বন্ধন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির ঋণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করতে পারলাম আমরা । ১৬ ই জানুয়ারী ২০২০ইং তারিখে প্রথম ঋণ বিতরণ করা হয় । প্রথম তিন জন সদস্যকে ঋণ দেওয়া হয় । দুই জন মহিলা সদস্য ও একজন পুরুষ সদস্য । মহিলা দুজন হল আমার বৌদি পল্লবী রায় আর সুশীলের বউ স্বপ্না রায় । আমি আর সুশীল যেহেতু সমিতির পার্টনার ,সেহেতু সুশীলের কথা আমাদের মধ্যেই দু্’একজন প্রথম ঋণগ্রহীতা হিসেবে রাখা ভাল । ভবিষ্যতে আমাদের সমিতির ইতিহাসে তাদের নাম স্মরণীয় হয়ে থাকবে ।
আমাদের কিস্তির ধরণ হল দৈনিক হিসেবে । আমরা প্রথম ১২% হারে সার্ভিস চার্জ নেব । পাঁচ জন পার্টনার ৫০ হাজার করে প্রথমে বিনিয়োগ করব । ধীরে ধীরে ছয় মাস অন্তর আলোচনা সাপেক্ষে আবারো বিনিয়োগ করব । আমাদের লক্ষ্য হল,পাঁচ বছর আমরা কোন সুবিধা আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে নেব না । আগে মোটা অংকের একটা মূলধন দাঁড় করাতে হবে । মূল ধন বেশি হলে আমরা বেশি বেশি লাভ বান হব ।
আজ হয়তো আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছি । এমনি দিন বা সময় আসতে পারে, যেদিন হয়তো জাতীয় ভাবে আমাদের কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে পারি । আমাদের স্বপ্ন হল আকাশ সমান । একদিনে কেউ বড় হয় না । বিন্দু বিন্দু জল কণা দিয়েই তো সাগরের সৃষ্টি হয় । অনেকেই আমাদের নিয়ে নানা কথা বলাবলি করছে । কেউ কেউ আমাদের পাগলামী হিসেবে আখ্যায়িত করছে । তাতে আমরা কোন কর্ণপাত করছি না । আমরা আমাদের লক্ষ্যে এগিয়ে চলছি ।
দুই আড়াই মাস অনেক পরিশ্রমের পর আজ আমরা আমাদের কাংক্ষিত কার্যক্রম শুরু করতে পারছি ,এটা ভেবেই আমরা শিহরিত,আনন্দিত । অনেক চড়াই ,উতরাই পেরিয়ে শেষে যে আমাদের প্রধান কার্যক্রম শুরু করতে পারছি ,এতেই আমরা অনেকাংশে সফল । এ দিনটার জন্যই আমরা এতদিন প্রতিক্ষায় ছিলাম । এ দিনটার জন্য আমাদের অনেক দৌঁড় ঝাঁপ করতে হয়েছে । দিন রাত কাজ করতে হয়েছে । একটা কাজ শুরু করতে অনেক পরিশ্রম আর পরিকল্পনা করতে হয় । আমরা পাঁচ জন পার্টনার এটার জন্য অনেক চিন্তা ভাবনা করেছি । কিভাবে কার্যক্রম শুরু করতে হবে । কাজ পরিচালনা করতে হবে । সব কিছু নিয়ে আমরা সব সময় আলোচনা করতাম । আমাদের এতদিনের পরিশ্রমের ফলে আজ এদিনটা পেলাম ।
সভাপতি নির্বাচন করেছি বকুলদাকে,সহ সভাপতি রমানাথ দা আর সম্পাদক হল সুশীল । আমাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ভবেন কাকুকে । আমদের মাঝে স্বভাবতই আজ একটু বেশি উত্তেজনা বিরাজ করছে । সবাই যেন আনন্দিত আর খুশি । এ প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে আমদের অনেক স্বপ্ন ,অনেক আশা ।
বিকাল বেলা সুশীল বৌদিকে আর তার বৌকে আমাদের অফিসে নিয়ে এসেছে । দু’জনে পাঁচ হাজার করে টাকা ঋণ নেবে । আমাদের এখনকার লক্ষ্য হল বাজারের ব্যবসায়ীদের ঋণ দেওয়া । এর মাঝে দু’চার জন গৃহিনী রয়েছে । আমাদের প্রথম লক্ষ্য হল বাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে ঋণ বিতরণ করা । যখন আমরা বড় পর্যায়ে যেতে পারব ,তখন আমরা সাপ্তাহিক কার্যক্রম চালু করব । সন্ধ্যা বেলা সবাই অফিসে গিয়েছে শুধু আমি ছাড়া । সব সময় আমি তাদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ রাখছি । বিশেষ করে সুশীলের সাথে প্রতিনিয়ত কথা বলি । রাতের বেলা সাড়া দিনের আপডেট নেই । বিভিন্ন রকম পরামর্শ দেই । বৌদিকে বলেছিলাম ঋণ নিয়ে একটা ডিপিএস করার জন্য । আমরা চাই আমাদের সহায়তায় যেন মানুষ স্বাবলম্বী হতে পারে ।
অর্থনৈতিক মুক্তিই মানুষের প্রকৃত স্বাধীনতা । অভাব অনটন নিয়ে কখনো ভাল সুখী ও শান্তিময় জীবন যাপন করা সম্ভব নয় । আমরা চাই এলাকার মানুষকে একটা দারিদ্রমুক্ত জীবন দিতে । আমাদের কিছু শ্লোগান রয়েছে । আজকের সঞ্চয় আগামীর মূলধন. বিন্দু থেকেই বৃত্ত ,সঞ্চয় করুন,ভবিষ্যৎ গড়ুন ইত্যাদি ।
পরিশেষে আজকের কার্যক্রম ভাল ভাবেই শেষ হয়েছিল । তিন জন সদস্যকে আমরা আজ ঋণ দিয়েছি ।প্রথম দিনেই বিশ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে । প্রথম দিনে বিতরণ কাজে আমরা অনেক খুশি । আমাদের প্রতিষ্ঠানের কথা এখনো তেমন ভাবে এলাকায় প্রচার হয় নি । আজ থেকে মানুষ অল্প অল্প করে জানতে পারবে । এলাকায় আমরা ধীরে ধীরে প্রভাব বিস্তার করব । কয়েকজন কে সম্মুখে রেখে দিয়েছি । আমি এখানে মঞ্চের পিছনের লোক হিসেবে রয়েছি । আমাকে মানুষ তেমন দেখতে পারবে না । আমি থাকব নেপথ্যে ।
বেশ কিছুদিন থেকেই সুশীল আমাকে প্রস্তাব করেছিল এমন একটি প্রতিষ্ঠান করার জন্য । আমি সময় দিতে পারি নি । এবার পুজায় বাড়িতে গিয়ে সম্মতি দিয়েছিলাম । পরে সন্তোষকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম । সে আবার রমানাথ দাকে নিয়ে এসেছিল । পরে অফিস ভাড়া নিতে গিয়ে বকুলদা পার্টনার হয়েছিল । এরপর অনেকেই পার্টনার হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং করছে । আমরা আর পার্টনার এর সংখ্যা বাড়াব না । পাঁচ জনেই থাকব । পঞ্চপান্ডব ,পাঁচ তারকা,ফাইফ স্টার যে নামেই হোক আমাদের এগিয়ে যেতে হবে এটাই বড় কথা ।
অনেক গুলো নাম থেকে বন্ধন নামটা আমরা পছন্দ করেছিলাম । আমরা চাই একটা বন্ধন পরিবার গড়ে তুলতে । এর পর আমাদের লক্ষ্য হল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করা । প্রথমে আর্থিক ,এরপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ,তারপর আমাদের অন্য ব্যবসায় হাত দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে । একটাতে সফল হতে পারলে পরের গুলো আমরা অনায়াসেই শুরু করতে পারব ।আজ যখন আমরা ঋণ বিতরণ করতে পেরেছি , আগামীতে নিশ্চয়ই অন্য পরিকল্পনাও সফল করতে পারব ।
আজ ঋণ বিতরণ মানেই মুনাফার দেখা পাওয়া । বিশ হাজার টাকায় আমাদের মুনাফা আসবে দুই হাজার চার শত টাকা । প্রতিদিন আসবে চব্বিশ টাকা মুনাফা । আজ হয়তো প্রতিদিন আসবে চব্বিশ টাকা ,এরপর হয়তো আসবে চব্বিশ হাজার,এর পর লাখ বা কোটিতেও যেতে পারে । মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় । স্বপ্ন দেখতে হয় আকাশ বা পাহাড় সমান । আকাশ সমান স্বপ্ন দেখলে ঘরের ছাদ পর্যন্ত হয়তো স্বপ্ন পুরন হবে ,আর ছাদ সমান স্বপ্ন দেখলে তখন হয়তো খাটের তল পর্যন্ত পুরন হবে । এজন্য সব সময় আমাদের উচিৎ আকাশ সমান স্বপ্ন দেখা ।
অনেকে শুধু স্বপ্ন দেখেই চলে ,সে হিসেবে কাজ করে না । শুধু স্বপ্ন দেখলে কখনো লক্ষ্য স্থলে পৌঁছানো যায় না । স্বপ্ন দেখার সাথে সাথে পরিকল্পনা মত কাজ করতে হবে ,তবেই স্বপ্ন আমাদের হাতে এসে ধরা দেবে । আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম বলেই আজ সমিতির শুরু থেকে আজ ঋণ বিতরণ করতে পেরেছি । আমরা কয়েকটা মাস অনেক পরিশ্রম করেছি বলেই আজ একটা জায়গায় এসে দাঁড়াতে পেরেছি । জানি না আমরা কত দুর যেতে পারব ,তবে এলাকায় যে নতুন কিছু করতে পেরেছি এটাই বা কম কিসে ।
আমাদের দেখে অনেকই হয়তো এমন অনেক প্রতিষ্ঠান করবে ,তবে প্রথম তো আমরাই করেছি এটা তাদের স্বীকার করতেই হবে । আমরা যে কিছু লোকের চোখে স্বপ্ন দেখার পথ তৈরি করে দিচ্ছি এটা কোন অংশেই কম নয় । কত দুর যেতে পারব,কি করতে পারব সেটা বড় কথা নয়, সব চেয়ে বড় কথা হল এমন প্রত্যন্ত এলাকায় এমন একটি উদ্যোগ নেওয়ার সৎ সাহস দেখাতে পেরেছি ,নতুনদের সাহস যুগিয়েছি ।
আমরা সামনের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য একত্রিত হয়েছি । সবাইকে একই সুত্রে বাঁধার জন্য বন্ধনের সৃষ্টি । আমরা চাই বন্ধন যেন একটি পরিবার হিসেবে দেশ ছাড়িয়ে দিকে দিকে ছড়িয়ে যায় । ঈশ্বরের কৃপা আর মানুষের ভালবাসা থাকলে কোন বাঁধাই আমাদের পথ আটকাতে পারবে না ।






0 Comments