০৮.০৩.২০২০
আজ আমাদের বাংলাদেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে । এতদিন চীন,ইতালির কথা শুনে আসছি ,আজ আমাদের দেশেই করোনার আক্রমন শুরু হয়ে গেল । যাদের সনাক্ত করা হয়েছে তারা সবাই প্রবাসী , বিদেশ থেকে দেশে এসেছেন ।
ডিসেম্বর মাসে প্রথম চীনে করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছিল । তখন থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সব দেশ কে সতর্ক করা শুরু করেছিল । কোন দেশ সেই লক্ষ্যে কাজ করা শুরু করেছিল । কোন দেশ করোনার কথাকে পাত্তাই দেয় নি । আমাদের দেশও যে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে দেখে তা মনে হয় না । আমাদের সরকার একটা বিশেষ দিনকে উৎযাপন করা নিয়েই হয়তো ব্যস্ত ছিল । প্রবাসীরা যখন দেশে আসতে শুরু করেছিল তখনো তেমন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি । করোনা ভাইরাসকে হয়তো তেমন কেউ পাত্তাই দেয় নি ।
আজ ৮ ই মার্চ ২০২০ ইং যখন করোনা রোগী সনাক্ত হল তখন সরকারের টনক নড়ে উঠলো । বিদেশীরা একের পর এক যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া শুরু করেছে । এতদিন সবাই নিরব ছিল ,আজ যেন হুঁশ হল । কি করবে ,কি করতে হবে কেউ যেন বুঝে উঠতেই পারছে না । বড় বড় মন্ত্রী,এমপি রা যে যার মত বলা শুরু করেছে । জানি না ,আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে । স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা আমাদের খুবই দুর্বল । সেই খাতে দূর্নীতিও হয় অনেক বেশি । করোনার ছোবল থেকে আমরা কেমন করে নিজেকে রক্ষা করব সেটাই চিন্তার বিষয় । তারউপর আমরা বাঙালিরা একটু বেশিই বুঝি । বাঙালি মানেই অতি উৎসাহী ।এখন অপেক্ষা শুধু ভবিষ্যতের দিন গুলোর ।
আজ ৮ ই মার্চ ২০২০ ইং যখন করোনা রোগী সনাক্ত হল তখন সরকারের টনক নড়ে উঠলো । বিদেশীরা একের পর এক যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া শুরু করেছে । এতদিন সবাই নিরব ছিল ,আজ যেন হুঁশ হল । কি করবে ,কি করতে হবে কেউ যেন বুঝে উঠতেই পারছে না । বড় বড় মন্ত্রী,এমপি রা যে যার মত বলা শুরু করেছে । জানি না ,আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে । স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা আমাদের খুবই দুর্বল । সেই খাতে দূর্নীতিও হয় অনেক বেশি । করোনার ছোবল থেকে আমরা কেমন করে নিজেকে রক্ষা করব সেটাই চিন্তার বিষয় । তারউপর আমরা বাঙালিরা একটু বেশিই বুঝি । বাঙালি মানেই অতি উৎসাহী ।এখন অপেক্ষা শুধু ভবিষ্যতের দিন গুলোর ।
করোনা কে ভয় করো না । আতংকিত না হয়ে স্রষ্টার উপর বিশ্বাস রেখে ধৈর্য্য ধারন করুন । সরকার ও স্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশনা মেনে চলা ছাড়া আর কোন উপায় নেই ।
২০.০৩.২০২০
আমাদের প্রত্যেকের এখন নিজ নিজ জায়গা থেকে ভলান্টিয়ারি কাজ করা প্রয়োজন। যারা কাজ করতে আগ্রহী তারা একটি গ্রুপ হয়ে বা ভলান্টিয়ার টিম গঠন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়দের সাথে যোগাযোগ করুন।
প্রত্যেক উপজেলার আপডেট রাখার জন্য আপনারা নিজেদের মধ্যে আলাদা ফেইসবুক গ্রুপও করতে পারেন।
সামাজিক মাধ্যম বা মুঠোফোন ব্যবহারের মাধ্যমে যত বেশি কাজ করতে পারবেন তত ভাল।
২১.০৩.২০২০
সত্যি নিজে বাঁচলে বাপের নাম ! ! !
আপনি "করোনার" ভয়ে ২-৩ মাসের বাজার করে বাসায় নিয়ে আসছেন !
আপনি ত ২-৩ মাসের বাজার করতে সক্ষম। কিন্তুু অন্য মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষেরা যে দৈনিক ও সাপ্তাহিক বাজার করেন ওনাদের কী হবে? ওনারা ত বাজারে জিনিস কমে গেলে বিক্রেতার দাম বাড়ানো জিনিস গুলো ক্রয় করতে হয়...একটু ভাবছেন অন্যদের পরিস্থিতি সম্পর্কে.. ভাবুন সময় এসেছে..l.নিজে বাঁচুন অন্যকে বাঁচান...বিপদের সময়েই এক জন সত্যিকার মানুষের পরিচয় ফুটে উঠে ।
২১.৩০.২০২০
বাঙালি মানেই ভোজন রসিক ! আমরা সব কিছু ছাড়তে পারব কিন্তু খাওয়া দাওয়া ছাড়তে পারব না । যতই ঝড় বৃষ্টি,প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টি হোক না কেন ,খাবারের চিন্তাটা সব সময় মাথায় ঘোরে । আমরা বাঙালি,আমাদের ক্ষুধা তৃষ্ণা অনুকূল আর প্রতিকূল পরিবেশ বোঝে না । কে খেতে পারলো আর কে খেতে পারলো না,নিজের উদরপুর্তি হলেই বাপের নাম ।
করোনা নামক মহামারীতে কাঁপছে সারা বিশ্ব । আমাদের দেশেও হানা দিয়েছে মরণঘাতী করোনা । সবাইকে সচেতন হতে হবে । নিজ নিজ অবস্থান থেকে সতর্ক থাকতে হবে এবং অন্যকে সতর্ক করতে হবে ।
তাই বলে কি আমরা না খেয়ে থাকব নাকি ? বরং প্রয়োজনের চেয়ে বেশিই খাব ,সেই জন্যই তো প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বেশি করে খাবার মজুদ করতে শুরু করেছি । মরি বা বাঁচি ,খেতে তো হবে ,তা নাহলে বাঙালির ভোজন রসিক নামের অবমাননা করা হবে !!
২১.০৩.২০২০
বিশ্বের সবাই এক যোগে মৃত্যুর ভয়ে ভীত আজ । সবার চোখে মুখে বাঁচার করুন আকুতি । বাইরে বৃষ্টি পড়ছে ,টিনের চালে তুলেছে ছন্দ । আজ রাতের বৃষ্টির জল যেন করুণা করে করোনাকে চিরতরে দূর করে দেয় এ দুনিয়া থেকে । মানুষ বাঁচার জন্য আজ স্মরণ করছে স্রষ্টাকে ,জানি করোনার ভয় কেটে গেলে সবাই যে যার নিজস্ব স্বভাবে ফিরে যাবে । তার পরেও মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা,হে প্রভু,তুমি তোমার অস্তিত্ব জানিয়ে দিয়েছ মানুষের মনে ,তুমি আছ,আছ এবং আছ ।
২৩.০৩.২০২০
মহাপ্লাবন কাছেই ,সময় বেশি নেইঃ একটা ইংলিশ সিনেমায় দেখেছিলাম ,একটা মেয়ে প্রায়ই স্বপ্ন দেখতো সে দেশের পাহাড়ে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটতে চলেছে । বাড়ির লোকদের ,এলাকার লোকদের সামনে সেই স্বপ্নের কথা বলে সাবধান করতো । কে শোনে কার কথা । সবাই তাকে পাগল ভেবে হাসি তামাশা করতো । মেয়েটি কিন্তু থেমে থাকে নি ,সব সময় আগ্নেয়গিরির কথা বলে বেড়াতো ,সবাইকে নিরাপদে থাকতে বলতো । লোকজন যেন বিনোদনের উপাদান মনে করে বেশি বেশি হাসি তামাশা করতে লাগলো । একদিন সত্যি সত্যি ভয়ংকর ভাবে সেই পাহাড়ে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত শুরু হল । প্রচন্ড বেগে লাভা বেড়িয়ে আসতে লাগলো । মানুষ জন পতঙ্গের মত মরতে লাগলো । কেউ কারো দিকে তাকায় না,তাকানোর সময় নেই । সবাই ছুটছে তো ছুটছেই ,কিন্তু বড় দেরি হয়ে গেছে ততক্ষণে । লাভার প্লাবনে বেশির ভাগ মানুষ চিরতরে হারিয়ে গেল । যারা বেঁচে থাকলো,তারা যেন অভিশাপ নিয়ে বেঁচে রইলো ,শরীরে দগদগে ক্ষত নিয়ে বেঁচে থাকলো ।
আমিও তো সেই সিনেমার মত করোনা নামক মহাপ্লাবনের কাল্পনিক দৃশ্য দেখতে পাচ্ছি । চারিদিকে এত কিছু ঘটছে ,আমাদের বোধদোয় ঘটে না । দেশের আমলা মন্ত্রীরা নানা রকম রসিকতায় মশগুল । এখনো চেষ্ঠা করলে হয়তো কিছুটা রক্ষা পাব,তা নাহলে হয়তো ভেসে যাব কালের গর্ভে । করোনা নামক মহাপ্লাবন অতি সন্নিকটে,সময় বেশি নেই ।
২৩.০৩.২০২০
বিজিএমইএর সভাপতি বলছেন শ্রম মন্ত্রণালয় পোশাক শিল্প এর বন্ধের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবে; ওদিকে মন্ত্রী পরিষদের সচিব বলছেন মালিকেরা সিদ্ধান্ত নেবেন । পোশাক শিল্পের ব্যাপারে কেউ সিরিয়াস নন । পোশাক শিল্পে যারা জড়িত তারা কি মানুষ নন ? শুধু মাত্র সরকারী আর বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে করোনা প্রতিরোধ করা যাবে না । পাতিলের নিচের দিকে ফুটা করে দিয়ে যেমন কলস ভর্তি করা যায় না,তেমনি পোশাক শিল্পে কর্মরত এতগুলো শ্রমিক,কর্মচারী,কর্মকর্তার ব্যাপারে সঠিক পদক্ষেপ না নিয়ে দেশকে করোনার হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না । সরকারের উচিৎ কাল,পরশুর মধ্যে একটা চূড়ান্ত সিন্ধান্তে আসা । করোনা নামক মহাপ্লাবন আমাদের দিকে ধেয়ে আসছে,সময় খুবই কম, একটু ভুলের জন্য আমাদের চরম মূল্য দিতে হতে পারে ।
২৪.০৩.২০২০
যে খাত থেকে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মূদ্রা আসে (৮২%) সেই খাতে কর্মরত মানুষদের নিয়ে ভাববার সময় কারো নেই । এত বড় একটা জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে করোনা মোকাবেলা বড়ই হাস্যকর পদক্ষেপ । এখনো সময় আছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসেন ,খুব দেরি হয়ে যাচ্ছে,পরে কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাবে । জীবন নিয়ে এমন টালবাহানা করার অধিকার কারো নেই ।
এখনো সময় আছে ,আসুন সচেতন হই । করোনা নামক মহাপ্লাবন চূড়ান্ত আঘাত করার আগেই প্রতিরোধ গড়ে তুলি । কারো ভরসায় না থেকে নিজ অবস্থান থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে হবে ।
২৫.০৩.২০২০
দেশ ও দশের সেবা করার সময় ও সৌভাগ্য সবার ঘটে না । সময় এসেছে কিছু করার ,আসুন একে অপরকে সহায়তা করি,দেশ ও দশের সেবা করি ।
এ এক আজব দেশ ! পোশাক শিল্প বন্ধ ঘোষণা না করে করোনা প্রতিরোধ ! আমার মত যারা পোশাক শিল্পে কর্মরত ,এখন পর্যন্ত যারা ছুটির নোটিশ পায় নি (শনি বারে আমাদের যথা নিয়মে অফিস করতে হবে ) ,তাদের জীবনের মূল্য মনে হয় কারো কাছেই নেই । হায় আজব দেশ,হায় সরকার ব্যবস্থা !


0 Comments