০১.০৪.২০২০
০২.০৪.২০২০
স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলকার খানা চালু রাখা যাবে ,অন্য দিকে বলা হচ্ছে মানুষকে ঘর মুখী রাখতে সেনা বাহিনী মাঠে থাকবে । এখানে দুই রকম নীতি পালন করা কিভাবে সম্ভব ? যাদের অফিস খোলা থাকবে ,তারা তাদের গন্তব্য স্থল এ তাহলে কিভাবে যাবে ? পোশাক শিল্পের মত স্থানে কিভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যাবে সেটা তো মনে হয় কেউ ভাবছেন না । বন্ধ ঘোষণার পর যে যার মত গ্রামের দিকে ছুটেছিলেন ,এখন আবার তারা কর্মস্থলে আসবেন । জানি না আসার সময় করোনার বন্ধু বান্ধব কে সাথে আনবেন কিনা । বাজারে যেখানে স্যানিটাইজার এর মত প্রয়োজনীয় উপকরণ দূর্লভ ,সেখানে কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে সেটা আমার বোধগম্য নয় । পোশাক শিল্পের মত অন্যান্য শিল্পে যারা কর্মরত তাদের কথা না ভেবে করোনা প্রতিরোধ করা এতটাই সহজ হবে এমন ভাবাটা কি একটু বোকামী হয়ে গেল না ।
০৩.০৪.২০২০
যারা অফিস বন্ধ পেয়ে গ্রামের দিকে ছুটেছিলেন ,তাদের কে বলা হয়েছিল তারাও যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন । এদিকে ৫ তারিখ থেকে পোশাক শিল্প সহ অন্যান্য কোম্পানী গুলো চালু হবে ,সেখানে দূরত্ব বজায় রাখা কিভাবে সম্ভব ?
ঈশ্বর না করুন, কোন আক্রান্ত ব্যক্তি যদি কাজে যোগদান করেন তবে তার থেকে যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে না তার কি কোন নিশ্চয়তা আছে ? আমরা যারা ছুটি পেয়েও বাড়িতে না গিয়ে বাসায় অবস্থান করলাম,বাড়িতে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছেটাকে অনেক কষ্টে দমন করেছিলাম ,আমরা যে আক্রান্ত হবো না সে কথা কে বলতে পারে । নিজে সচেতন থাকলাম,অন্যজন নিয়ম মানলো না, এতে করে ফলাফল শূন্য ছাড়া আর কি বলা যেতে পারে । সরকার একদিকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করলেন অন্যদিকে শিল্প খোলা রাখার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট ভাবে কোন নির্দেশনা দিলেন না , করোনা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়লে তখন এর দায়ভার নেবে কে ?
০৪.০৪.২০২০
রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের একটা ছোট গল্পের উক্তি মনে পড়ে গেল,"কাদম্বরী মরিয়া প্রমাণ করিল কাদম্বরী মরে নাই"। এলাকার কতিপয় সুমহান হৃদয়বান মানবতার সৈনিক এত কষ্ট করে এলাকা বাসীকে কিছু দিন ধরে সচেতন করার জন্য আপ্রাণ চেষ্ঠা করে যাচ্ছে । ছোট কাঁদে বড় দায়িত্ব নিয়ে নিজের বিপদ উপেক্ষা করে মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে করোনা সম্পর্কে সচেতন করার জন্য । অন্যের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার জন্য পরের কাছে হাত পাতছে । তাদের চিন্তা, এলাকার একটা প্রাণও যেন অকালে ঝরে না যায় করোনার ভয়ংকর থাবায় । তাদের ছোট মাথায় অনেক বড় ভাবনা এলাকা বাসীর জন্য । সব সময় প্লান করেই চলছে কিভাবে এলাকা বাসীকে নিরাপদে রাখা যায় । কেমন করে করোনার আক্রমন প্রতিহত করা যায় ।
পক্ষান্তরে ,এলাকার কিছু লোক উল্টো ওদের কাজকে পাগলামী ভেবে হেসে উড়িয়ে দিচ্ছে । ভাবছে ,হাতি ঘোড়া গেল তল,মশা বলে কত জল । সমালোচনা চিরকালই ছিল,চিরকাল থাকবে ,ওটা নিয়ে বলার কিছু নেই । কিন্তু আপন ভাল তো পাগলও বুঝে । সারা বিশ্ব আজ করোনার ভয়ে ভীত । কোথাও মৃত্যুর মিছিল চলছে । আর আমরা বাঙালিরা বিশেষ করে আমাদের এলাকাবাসী বিশেষ করে নিমোজখানার আড্ডাবাজরা যেন কিছুতেই কিছু বুঝতে চায় না । সব কিছুকেই যেন হেসে উড়িয়ে দিচ্ছে । ঈশ্বর না করুন,এমন দিন যেন না আসে,যেদিন কাদম্বরীর মত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মরার সময় বলতে না হয়, এলাকার ছেলেরা ঠিকই বলেছিল করোনা আছে এবং সচেতন হও ,সতর্ক থাকো । কেউ যদি মনে করে ,কাদম্বরী যেমন মরিয়া প্রমাণ করেছে সে আগে মরে নি , তেমনি করোনা আগে আসুক দেখি করোনা সত্যি সত্যি আছে কিনা । তাহলে সেই ব্যক্তির জন্য আমার কিছু বলার নেই । আপন ভাল পাগলও বোঝে ,যারা বোঝে না ,তারা পাগলের চেয়েও নিচের গ্রেডে ।
পক্ষান্তরে ,এলাকার কিছু লোক উল্টো ওদের কাজকে পাগলামী ভেবে হেসে উড়িয়ে দিচ্ছে । ভাবছে ,হাতি ঘোড়া গেল তল,মশা বলে কত জল । সমালোচনা চিরকালই ছিল,চিরকাল থাকবে ,ওটা নিয়ে বলার কিছু নেই । কিন্তু আপন ভাল তো পাগলও বুঝে । সারা বিশ্ব আজ করোনার ভয়ে ভীত । কোথাও মৃত্যুর মিছিল চলছে । আর আমরা বাঙালিরা বিশেষ করে আমাদের এলাকাবাসী বিশেষ করে নিমোজখানার আড্ডাবাজরা যেন কিছুতেই কিছু বুঝতে চায় না । সব কিছুকেই যেন হেসে উড়িয়ে দিচ্ছে । ঈশ্বর না করুন,এমন দিন যেন না আসে,যেদিন কাদম্বরীর মত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মরার সময় বলতে না হয়, এলাকার ছেলেরা ঠিকই বলেছিল করোনা আছে এবং সচেতন হও ,সতর্ক থাকো । কেউ যদি মনে করে ,কাদম্বরী যেমন মরিয়া প্রমাণ করেছে সে আগে মরে নি , তেমনি করোনা আগে আসুক দেখি করোনা সত্যি সত্যি আছে কিনা । তাহলে সেই ব্যক্তির জন্য আমার কিছু বলার নেই । আপন ভাল পাগলও বোঝে ,যারা বোঝে না ,তারা পাগলের চেয়েও নিচের গ্রেডে ।
এমন যদি হয়,পোশাক শিল্প সহ অন্যান্য শিল্পে কর্মরত লোক জন পায়ে হেঁটে ,বহুপথ পাড়ি দিয়ে কর্মস্থলে পৌঁছানোর পর শুনতে পেল বন্ধের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে । তখন পরিবেশটা কি রকম হতে পারে ভাবুন তো একবার । দেশ সব দিক দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে । নেতারা বড় বড় লেকচার দিচ্ছেন । কতিপয় চামচা মিডিয়া অন্ধের মত খবর প্রচার করছেন । নীতি নির্ধারকেরা দিনরাত নৈতিকতা হীন নীতি তৈরি করছেন । যেখানে বিশ্বের অন্যান্য দেশ এগিয়ে যাচ্ছে কাজে আর আমরা এগিয়ে যাচ্ছি কাগজে কলমে ।
সরকারী আর বেসরকারী লোকদের নিয়ে সরকার এখন ব্যস্ত ,সেখানে শিল্প কারখানার লোক জনকে নিয়ে ভাবার সময় নেই । একদিকে লক ডাউন,অপর দিকে লক আউট । এই দুই রকম নীতির জন্য আমাদের চরম মূল্য দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে । স্রষ্টা না করুন, এদেশে যদি করোনা মহামারী আকার ধারণ করে তবে তার দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে । লাখ লাখ শ্রমিক কর্মচারীর জীবন নিয়ে যারা আজ কোন কিছুই ভাবছেন না, ভাববেন না আপনারা এত সহজে পার পেয়ে যাবেন । তাই এখনো সময় আছে করোনার হাত থেকে দেশবাসীকে রক্ষার জন্য সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন,দেশের কথা একটু ভাবুন ।
অবশেষে আবারও আমাদের অফিস ১১ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা । ধন্যবাদ পরিচালনা পর্ষদকে । সবাই নিয়ম মেনে চলুন,সচেতন হোন এবং সতর্ক থাকুন । করোনা পরাজিত হবেই হবে ।
০৫.০৪.২০২০
#এলাকাবাসীর কি এখনো টনক নড়ছে না ?
স্বেচ্ছাসেবকদের কাজে যারা মোটেও খুশি নন তারা আজকের করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা ও মৃতের সংখ্যাটা দেখে নেন । বাংলাদেশের দশ জেলায় মোট আক্রান্তদের সংখ্যাটা অতি নগন্য মনে হলেও তা মোটে নগন্য নয় । আজ দশ জেলায় ছড়িয়েছে ,কাল চৌষট্টি জেলায় ছড়িয়ে যেতে কতক্ষণ ।
মৃত্যুর হার হিসেব করলে এশিয়ার মধ্যে প্রথম স্থানে বাংলাদেশ । অতএব ,এখনো সময় আছে সচেতন হোন,সতর্ক থাকুন । যারা ঢাকা বা অন্যান্য স্থান থেকে এলাকায় যাচ্ছে তাদের চৌদ্দ দিন বাড়ির বাইরে বের হতে দেবেন না । প্রয়োজনে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র বাড়িতে পৌঁছিয়ে দিবেন ।
নিজের দম্ভ আর অহংকার দেখানোর সময় এখন নয় । এখন সময় বাঁচার জন্য লড়াই করার,দেশ ও দেশের জনগনকে সুরক্ষা দেওয়ার ।
#৫_৯_১৮ সংখ্যাটা যে হারে বাড়ছে ,আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে সেটা ঈশ্বরই ভাল জানেন ।
০৭.০৪.২০২০
ঢাকা ফেরত এলাকাবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলায় যেসব জনপ্রতিনিধি স্বেচ্ছা সেবকদের সমালোচনা ও বলা যায় এক প্রকার ধমক ও হুমকি ধামকি দিয়েছেন , আজ তারাই নিজের বাড়ির প্রবেশ পথে করোনা ঠেকাতে লক ডাউন করছেন যেন বহিরাগত কেউ ঢুকতে না পারে । কথায় বলে না, জানের মায়া যে বড় মায়া । যেখানে স্বেচ্ছাসেবকেরা অনেক আগে থেকেই প্রচার প্রচারণা চালিয়েছিল ,সেখানে করোনা সম্পর্কে জনপ্রতিনিধিদের কোন ধারনাই ছিল না হয়তো । কথায় বলে,কাঙালের কথা বাসি হলেও ফলে । দেরিতে হলেও যে এমন বোধদোয় হয়েছে সেজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ । তাই আসুন সচেতন হই,সতর্ক থাকি ও অন্যকে সতর্ক করি ।
পরিশেষে, ছোট বলে কাউকে তাচ্ছিল্য করা ঠিক নয়, ভাল কাজকে সমর্থন করাই জ্ঞানীর কাজ সেই কাজটা যেই করুক না কেন ।
০৯.০৪.২০২০
যে দেশের মানুষ লক ডাউন কি তা দেখার জন্য রাস্তায় বের হয় ,সে দেশের ভবিষ্যৎ কি হবে একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন ।
যে দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসার ভয়ে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যায়,বুঝতে হবে সে দেশের জনগন কতটুকু সচেতন !
খালি কয় সাবান দিয়া হাত ধুতে,ঘরে খাবার আছে কিনা খবর নেয়না কেউ! এক অসহায় নারীর কথা গুলো কানে বাজছে সারাক্ষণ ।
১০.০৪.২০২০
"কতবার যে আমি তোমাকে স্পর্শ করতে গিয়ে
গুটিয়ে নিয়েছি হাত-সে কথা ঈশ্বর জানেন।"
- নির্মলেন্দু গুণের এমন উক্তি এখন মনে প্রাণে গেঁথে গেছে।
মমতার হাত,ভালোবাসার হাত, আশির্বাদের হাত, মারামারি,কাটাকাটির হাত সব এখন থেমে গেছে। এখন প্রিয়জনদের কাছ থেকে যত হাত দূরে থাকা যায় ততই ভালো।
আমরা সামাজিক জীব তবে এখন দলবদ্ধ নয় একাকী থাকাকেই শ্রেয় মনে হচ্ছে ।
পৃথিবীতে এমন সময় আসবে কখনো কেউ ভেবেছিল কি ! কোভিড -১৯ ভাইরাস বুঝিয়ে দিচ্ছে মানুষ কত অসহায় প্রকৃতির কাছে।
কত অনিয়ম, অনিয়ন্ত্রিতভাবে জীবনযাপনে মত্ত মানুষেরা আজ নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে।
কিছু দিন,কিছু কাল পরে হয়তো আবার আগের নিয়মে ফিরে যাব । মাঝখানে বদলে যাবে কত কিছুই হয়তো । আমরা আশায় থাকি,স্বপ্ন দেখি ,মানুষের জয় হবেই হবে এটা সুনিশ্চিত।
১৩.০৪.২০২০
#শঙ্খচিল
পার্থ মুখার্জি
আমাদের দেখা হোক মহামারী শেষে,
আমাদের দেখা হোক জিতে ফিরে এসে।
আমাদের দেখা হোক জীবাণু ঘুমালে,
আমাদের দেখা হোক সবুজ সকালে।
আমাদের দেখা হোক কান্নার ওপারে,
আমাদের দেখা হোক সুখের শহরে।
আমাদের দেখা হোক হাতের তালুতে,
আমাদের দেখা হোক ভোরের আলোতে।
আমাদের দেখা হোক বিজ্ঞান জিতলে,
আমাদের দেখা হোক মৃত্যু হেরে গেলে।
আমাদের দেখা হোক আগের মত করে।
আমাদের দেখা হোক সুস্থ শহরে...
0 Comments