ভেবেছিলাম ২০২৪ সালের ৫ই আগস্টের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশ নতুন ভাবে গঠন হবে, দেশের জনগন এক সাথে কাজ করবে,দেশের ইতিহাস সঠিক ভাবে লিখা হবে ।
ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.ইউনূস এর রিসেট বাটন প্রেস করার মন্তব্য নিয়ে অনেক সমালোচনার জন্ম হয়েছে । সেই প্রেক্ষাপটের রেষ কাটতে না কাটতেই জাতির জনকের প্রশ্নে আবারও সমালোচনা শুরু হয়েছে ।
উপদেষ্টা নাহিদ সাংবাদিকের প্রশ্নে সরাসরি বলে দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শেখ মুজিব কে জাতির জনক মনে করেন না । তিনি বলেছেন, দেশের ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে জাতির ফাউন্ডিং ফাদার অনেক আছে । অন্যদিকে উপদেষ্টা আসিফও তার ফেসবুক পোস্টে তার অবস্থান পরিস্কার করেছেন । তিনি বলেছেন,শেখ মুজিব জাতির পিতা নয় ।
কিছু দিন পর হয়তো ৭১ এর স্বাধীনতার ঘোষক শেখ মুজিব না জিয়াউর রহমান এমন প্রশ্নের জন্ম দেবে নতুন করে,যা বিগত দিনে আমরা দেখে আসছি ।
যার যা প্রাপ্য সম্মান তা আমরা দিতে নারাজ, যা ইতিপূর্বে আমরা দেখে আসছি । এখনও যদি সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকে,তাহলে দেশের জনগন তো একই কাতারে আসতে পারবে না কখনো।তাদের মধ্যে বিভক্তি বিভাজন রয়েই যাবে । দেশের জনগন একই ঐক্যমতে না পৌঁছালে দেশের উন্নয়ন কখনো সম্ভব নয় ।
ড.ইউনূস বার বার বলেছেন,একটা সুযোগ এসেছে দেশ গড়ার । তাঁর কথাকে সমর্থন করা দরকার । তাঁকে সহায়তা করা দরকার । কিন্তু এভাবে যদি বার বার বিভিন্ন মন্তব্যে বা সিদ্ধান্তে দেশের জনগনের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়,তাহলে দেশ গড়ার নতুন সুযোগ হাত ছাড়া হতে বাধ্য ।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন,একটি দেশের জাতির পিতা কে হবে নেটা নির্ধারণ করবে সেই দেশের জনগন। তাই যদি হয়,নিশ্চয় জনগনের মতামতের ভিত্তিতে ও ইতিহাসের ভিত্তিতে সেটাই করা উচিৎ ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমার অনুরোধ,ঐক্যমত যাচাই করে,সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিন,তা নাহলে আমাদের লক্ষ্যচূত হতে হবে ।
0 Comments